শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি ও উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদনে কৃষকদেরকে অনুপ্রানিত করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। কৃষক পরিবারগুলো যেন পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার উৎপাদন করতে পারে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারী নদীতে বারার ড্যাম প্রকল্প (ডিএই অঙ্গ) এর উদ্যোগে ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে খামারবাড়ির আ. কা. মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে আয়োজিত জাতীয় কর্মশালা ২০১৬ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণে কৃষি এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এলাকাভিত্তিক যেসকল প্রযুক্তির চাহিদা রয়েছে তার বিস্তার ঘটানোসহ আইসিটির ব্যবহারে সকলকে অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি ভূউপরিস্থ পানি ব্যবহার কার্যক্রম জোরদার করে পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে ভালো পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি গঠনের আহবান জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্রপস উইং এর পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ওআইসিটি ইউং এর পরিচালক প্রতীপ কুমার মন্ডল; প্রশাসন ও অর্থ উইং এর পরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান ও সরেজমিন উইং এর পরিচালক চৈতন্য কুমার দাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারী নদীতে বারার ড্যাম প্রকল্প (ডিএই অঙ্গ) এরর প্রকল্প পরিচালক একেএম হারুনুর রশীদ। কারিগরী অধিবেশনে বারার ড্যাম প্রকল্প (এলজিইডি অঙ্গ) এর কারিগরী দিক উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক খলিফা আবুল কালাম আজাদ। বারার ড্যাম প্রকল্প (বিএডিসি অঙ্গ) এর রাবার ড্যাম রক্ষণাবেক্ষণ, সমিতি গঠন ও পানি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ।